তরমুজের ১২টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

যেকারনে তরমুজ দেহের জন্য উপকারতরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকে জানি না ।তরমুজে বীজে প্রচুর পরিমাণে জিংক  ম্যাগ্নেশিয়াম  ও রক্ত চলাচল এবং হার্ট ভাল রাখে   আর তরমুজ তৃষ্ণা নিবারণের করে তো চলুন তরমুজের আরো গুনাগুন জেনে নিই।

তরমুজ আমাদের দেশের বাৎসরিক ফল এটি সিজনালী হয়ে থাকে তবে রমজান মাসের দিকে এই ফল বেশি বাজারে দেখা যায় তরমুজের প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন এবং কোলেস্টোরেজ রয়েছে তরমুজ আমাদের শরীরে কি কি উপকারিতা থাকে তাই বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো ।

পেজ সূচিপত্র তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে  বর্ণনা করা হলো

• তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ
•  তরমুজের  পুষ্টি উপাদান সমুহ
• তরমুজের ১২ টি উপকারিতা সমূহ
• বিভিন্ন পুষ্টির উপাদান ও সমৃদ্ধে ভরা
• হার্ট তরমুজে হার্ট ভালো হয়
• শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে তরমুজ
• ব্যথা নাশকে তরমুজের কার্যকারিতা
• মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে তরমুজ
• পেশীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে তরমুজ
• হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধিতে তরমুজের উপকারিতা
• ত্বকের যত্নে তরমুজের কার্যকারিতা
• গর্ভবতী মায়েদের উপকারী ফল তরমুজ
• দৃষ্টিশক্তি লোপ এড়াই  তরমুজ
• তরমুজের অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ
• রাতে তরমুজ খেলে যে সমস্ত উপকার হয়ে থাকে
• তরমুজের বীজের উপকারিতা সমূহ
• তরমুজ খাওয়ার নিয়মাবলী সমূহ

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা অনেকে জানি তবে ভালোভাবে জানিনা তরমুজের অনেক রকম উপকারিতা ভোগ করে থাকি এর মধ্যে তৃষ্ণা নিবারণ কলেস্টর কমে গেলে তরমুজের খেয়ে তার ঘাটতি পূরণ করে থাকি । কোলেস্টরের কমে গেলে কোলেস্টর বৃদ্ধি করা যকৃত সমাধান সহ বিভিন্ন রকমের সমস্যার সমাধান করে এই তরমুজে।

 তরমুজের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে বা ক্ষতিকর কিছু দিক রয়েছে সেগুলো হলো ১০০ গ্রাম তরমুজে ১০ গ্রাম মত কার্বোহাইড বা শর্করা থাকে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য এটা খাওয়া খুবই খারাপ দিক ।  কারণ তাদের শরীরে কোলেস্টর মাত্রা বেশি থাকে । তরমুজ খেলে  তাদের শরীরে আরো বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পায় কোলেস্টর ।

 এজন্য তাদের খাওয়ার মোটেও ভালো না এছাড়াও তরমুজের টার্মিন ও এমআইনো এসিড মাইগ্রেনের সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে কারো কারো কাছে এরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বাহজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে ।তাই উপকারিতা ও অপকারিতার অনেক আছে । তরমুজ এর  বিস্তারিতভাবে নিচে আলোচনা করা হলো

 তরমুজের  পুষ্টি উপাদান সমুহ

        

উপাদান	পরিমান
পানি	৯০%
ক্যালসিয়াম	১০ মিলিগ্রাম
চিনি	৬.২ গ্রাম
চর্বি	০.২ গ্রাম
ফাইবার	০.৪ গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম	১৫ মিলিগ্রাম
প্রোটিন	০.৬ গ্রাম
ক্যালরি	৩০ গ্রাম
সোডিয়াম	১মিলিগ্রাম
শর্করা	১০ গ্রাম

তরমুজের ১২ টি উপকারিতা সমূহ

তরমুজ আমাদের দেহের পানি শূন্যতা দূর করে এবং তৃষ্ণাও নিবারণ করে এছাড়াও তরমুজ আমাদের হজম শক্তির বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে । যকৃত মত কঠিন রোগ ও ভালো করতে সাহায্য করে চলুন এই আর্টিকেলে তরমুজের বিশেষ কিছু উপকারিতা আমরা জেনে নেই ।

আরো অড়ুনঃ সকালে খালি পেটে খেজূর খেলে কি উপকার হয় জানুন

বিভিন্ন পুষ্টির উপাদান ও সমৃদ্ধে ভরা

তরমুজের উপকারিতা অপকারিতা মধ্যে উপকারিতা যে সমস্ত দিকগুলো রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো  । বিভিন্ন রকমের পুষ্টি উপাদানের ভরা এই তরমুজ  । তরমুজ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম সহ আরো বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এর ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত একটি লোভী খাবার হলো তরমুজ। এটি একটি পুষ্টিকর ফল ও বটে।

হার্ট তরমুজে হার্ট ভালো হয়

তরমুজের উপকারিতা অপকারিতার মধ্যে যে সমস্ত উপকারগুলো আছে তার মধ্যে হাটের যাদের সমস্যা আছে। তারা তরমুজ বেশি পরিমাণে খেতে পারবেন এটি  রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । তরমুজে আছে লাইকোপেন যা শরীরের অনেক রকমের সমস্যায় সমাধান করে । এটা  গুরুত্বপূর্ণ  উপকারের মধ্যে পড়ে।

শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে তরমুজ

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতার যে পার্থক্য রয়েছে তার মধ্যে উপকারিতা যে দিকগুলো আছে  তা হলো তরমুজ শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে । ৯০% পানি ভরা থাকে এই তরমুজে আমাদের শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম করে ।এই তরমুজ এমন একটা কোশ্চেন থাকতে পারে পানির চাহিদা পূরণ করতে পানি খেতে পারি , তরমুজ কেন খাব আসল কথা হলো খুব দ্রুত হজম করার জন্য পানি খেয়ে থাকে। কিন্তু খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য এই তরমুজ  বেশিক্ষণ সময়ে  পর্যন্ত   খিদে নিবারন করে থাকে ।

ব্যথা নাশকে তরমুজের কার্যকারিতা

তরমুজের উপকারিতা এবং অপকারিতার যে দুটি দিক আছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা দিক হলো এই তরমুজ ব্যথাতে খুব ভালো কাজ করে থাকে। আমাদের শরীরে যদি কোন বাহ্যিক ব্যথা থাকে সেক্ষেত্রে তরমুজের যে ভিটামিন সি বা লাইকোপেন উপাদান দীর্ঘমেয়াদি ব্যথাগুলো দূর করতে সাহায্য করে  । এটি এন্টি এক্সিডেন্ট  তরমুজে ছোটখাটো ব্যথাগুলো এমনিতেই সেরে যায়  ।

মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে তরমুজ

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে সবচাইতে বড় উপকারী দিক হলো ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি থেকেও রক্ষা করে তরমুজের পুষ্টি পুষ্টিগুণ ও উপাদান । প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি যে বিভিন্ন রকমের ক্যান্সার আছে যেমন মলদ্বারে ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে তরমুজ বিদ্যমান হিসাবে কাজ করছে , লাইকোপেন এবং কিউবার বেটাসিন নামক উপাদান গুলো এই তরমুজে অবদান রাখছে ।

আরো অড়ুনঃকুমড়ার বীজে ১৭টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ 

পেশীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে তরমুজ

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য আছে । উপকারিতার যে সমস্ত দিকগুলো আছে তার মধ্যে তরমুজ খেলে পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখে ।প্রতিদিন ব্যায়ামের কারণে পেশি ব্যথা হয় এ ব্যথা দূর করার জন্য তরমুজের যে উপাদানগুলো আছে সেগুলোতে বেশি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। আর উপাদানটি হলো আম্যানএসিড ।

হজম প্রক্রিয়া বৃদ্ধিতে তরমুজের উপকারিতা

তরমুজের উপকারী এবং অপকারিতা যে কার্যক্ষমতা আছে তার মধ্যে হজম শক্তি হচ্ছে অন্যতম।হজম শক্তি বৃদ্ধিতে তরমুজের অনেক ভূমিকা রয়েছে এতে রয়েছে ৯০% পানি যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং মলত্যাগের সহজ উত্তর উপায় বৃদ্ধি করে । এবং শরীরের পানির ঘাটতি দূর করে থাকে তরমুজ খেলে শূন্যতা থাকে না।তাই তরমুজের যে উপকারিতা কথা বলা হয়েছে এটি হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ  দিক হিসেবে ধরা যায় ।

ত্বকের যত্নে তরমুজের কার্যকারিতা

তরমুজের উপকারিতা এবং অপকারিতার মধ্যে ত্বকের যে যত্নের কথা বলা হয়েছে। এটি হচ্ছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা । তরমুজ নিয়মিত খেলে ত্বক সুন্দর ও হাস্যজ্জল  হয়।তরমুজ বিভিন্নভাবে  ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকে । এ ভিটামিন এর সাথে ত্বকের মৃত কোষগুলো জীবিত হয় ।এবং  ত্বক এর মধ্যে যে ব্রণ থাকে সেগুলো দূর হয়ে যায় ,কালো বয়স্কের ছাপ গুলো দূর হয়ে যায় ।তাই উপকারিতার দিক দিয়ে তরমুজ ফলটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।

গর্ভবতী মায়েদের উপকারী ফল তরমুজ

তরমুজের উপকার ও অপকারের পার্থক্যের মধ্যে অন্যতম উপকারিতা হলো এই তরমুজ গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই কার্যকরী ।এই ফলে যে পরিমাণে  পানি আছে তা গর্ভবতী মায়েদের পিপাসার চাহিদা পূরণ করে থাকে । শরীরের ফোলা ভাব দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।  তাই গর্ভবতী মায়েদের জন্য তরমুজের গুরুত্ব অপরিসীম ভূমিকা পালন করছে ।

দৃষ্টিশক্তি লোপ এড়াই  তরমুজ

তরমুজের উপকারিতা অপকারিতার মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে ,চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে ।যে সমস্ত বয়স্ক মা-বাবা বা পরিবারে যারা আছেন তাদের জন্য তরমুজ দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে ।এই তরমুজে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেননামে এন্টি এক্সিডেন্ট আছে, তবে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞগণ বলেন তরমুজ সব রকমের বয়সের জন্য সবসময়ই গুরুত্বের সাথে কাজ করে থাকে ।

তরমুজের অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ

তরমুজের উপকারিতা অপকারিতার মধ্যে যে সমস্ত পার্থক্য আছে সেগুলো বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে তো চলুন তরমুজের যে সমস্ত অপকারিতা দিক গুলো  আছে  সেগুলো পর্যায়ক্রমে  বর্ণনা বলা হলো।

তরমুজে শর্করা হার বেশি থাকে

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা পার্থক্যের মধ্যে অপকারিতার দিকের যে কারণ রয়েছে তার অন্যতম হলো তরমুজে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইডেট বা শর্করা থাকে। প্রায় ১০০ গ্রামের মধ্যে ১০ গ্রামের মত যেটা হলো রোগীদের রক্তে শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ।এর ফলে যারা উচ্চ মাত্রায় ডাইবেটিসের রোগী তাদের ক্ষেত্রে তরমুজ খাওয়া উপকারিতার চাইতে এর সমস্যায় বেশি হবে ।

আরো অড়ুনঃখালি পেটে ইসুবগুলের ভুষি খেলে ২০ টি  উপকার 

মাইগ্রেনের সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা 

তরমুজ এ  বিদ্যমান যে সমস্ত ভিটামিন গুলো রয়েছে তার মধ্যে টাইরামাইন এমাইনো এসিড এবং মাইগ্রেনের সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে ।এজন্য তরমুজকে একটি অপকারিতার দিক হিসেবে গণ্য করা হয় ।এর মূল কারণ হলো এটি অতিরিক্ত খাওয়া সম্পূর্ণভাবে বর্জন করতে হবে । 

তরমুজের অপকারিতা হজমের সমস্যা

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতার মধ্যে যে সমস্ত উপকারিতার কথা বলা হয়েছে সেটা হচ্ছে হজমের সমস্যা । কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ইটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বাহাজেমের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে তাদের জন্য তরমুজ খাওয়া চাইতে না খাওয়াই ভালো ।  এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো চাইতে ডায়রিয়া হওয়ারই বেশি আশঙ্কা থেকে থাকে । হজম এর সমস্যা দূর করতে গিয়ে পেটে ফোলা ভাব সৃষ্টি হতে পারে । তাই যাদের এ সমস্যা গুলো রয়েছে তারা যেন তরমুজ বর্জন করে চলে ।

রাতে তরমুজ খেলে যে সমস্ত উপকার হয়ে থাকে

রাতে তরমুজ খেয়ে ঘুমালে যে সমস্ত উপহারগুলো হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো এই ফলে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে কারো কারো ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে ।

যেমন সন্ধার সময় যাদের হাঁটাচলা কম হয় কাজকর্ম কম থাকে সাধারণভাবে চিনি হজম করতে পারেন না যাদের রক্তে প্রচুর পরিমাণে সুগার রয়েছে তারা এ সমস্ত তরমুজ খাওয়া এড়িয়ে চলুন

অতিরিক্ত রাতে তরমুজ খেয়ে ঘুমালে প্রসবের চাপ আসে ঘন ঘন প্রসাবে যেতে হয় এজন্য ঘুমের সমস্যা হয়

রাতে তরমুজ খেলে তরমুজে যে এসিড আছে সেটা পেটের ব্যাথা সৃষ্টি করতে পারে

তাহলে তরমুজ আমরা কখন খাব এ বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে । তরমুজ খেতে হলে সঠিক সময় হলো সকালবেলা যদি কারণবশত না খাওয়া হয় তাহলে দুপুরের দিকে খেতে পারেন এটা তো প্রচুর পরিমাণে এন্টি এক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয় ।সারাদিন আপনাদের শরীরের শক্তি যোগাবে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে ।

তরমুজের বীজের উপকারিতা সমূহ

তরমুজের বীজ রাতে খেলে অনেক উপকারিতা হয় ।কারণ তরমুজ বিজে রয়েছে জিংক অন্যান্য বীজের চাইতে এই তরমুজের বীজ ব্যতিক্রম নয় ।তাই তরমুজ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।

ম্যাগনেসিয়ামে ভরা তরমুজের বীজ রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে তরমুজ বীজের ভূমিকা অনেক বেশিই  । ম্যাগনেসিয়াম হৃৎপিণ্ড রক্তের গতি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে ।

এই তরমুজ  বিচি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে ।এই তরমুজ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনো ফ্যাটি এসিড থাকায়  চুল সুস্থ রাখে । তাই ত্বকের বরুণ ভালো করতে তরমুজের বিচি পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজ করে থাকে । ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর করে এই তরমুজের বিচি ।

তরমুজের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তবে তরমুজের পর্যাপ্ত  খাবার হজম করতো এবং পেট পরিষ্কার করতে ভেষজ ওষুধের মত কাজ করে থাকে ।

হাড়কে মজবুত ও জোড়া লাগায় তরমুজ । হাড়ের সমস্যাগুলোর সমাধান করে পাশাপাশি তরমুজের বিচি স্নায়ু সচল রাখেএবং ক্যালসিয়ামের বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

অ্যাপেলের বীজ এবং তরমুজের বীজ  ছায়ানাইড এর মত ক্ষতিকারক কোন উপাদান তরমুজের বীজে নেই ।তাই তরমুজের বিচিগুলো দাঁত কে সুস্থ সুন্দর রাখতে সাহায্য করে ।

আরো অড়ুনঃসকালে  খালি পেটে কাজু বাদাম খাওয়ার  উপকারিতা

তরমুজ খাওয়ার নিয়মাবলী সমূহ

তরমুজ খাওয়ার নিয়মাবলী কিছু নিদর্শনা হল আপনি তরমুজটি কিভাবে খাবেন প্রথমে এই তরমুজ  কে রুচি সম্মতভাবে নিতে হবে । তারপরে বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় তরকারির সাথে রান্না করেও খাওয়া যায় আবার রোদে বীজ ভালো ভাবে শুকিয়ে ব্লেন্ড করেও খাওয়া যায় । সালাতের সাথে তরমুজ খাওয়া যায় । তবে অনিচ্ছা সত্ত্বেও জোর করে খাওয়া ঠিক নয় কারণ এতে উপকারের চাইতে বেশি খতি হতে পারে ।তরমুজ খাওয়ার উত্তম সময় হলো  কিছু নাস্তা পানি করার পরে সকাল বেলা খেয়ে নিতে হবে 

উপসংহার

তরমুজের উপকারিতা অপকারিতার মধ্যে যে সমস্ত কারণগুলো ব্যাখ্যা করা হলো তার মধ্যে উপকারীতার দিকে বেশি নজর রাখা হয়েছে । কারণ অধিকাংশ মানুষই সুস্থ এবং সবল তাদের জন্য তরমুজ খাওয়া যথেষ্ট পরিমাণই ভালো ।কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া খুবই খারাপ ।যে কোন জিনিস তরমুজের বা  অন্য ক্ষেত্রে হোক ।

সুতারাং বলা যায় যে তরমুজের উপকারিতা অপকারিতার  দিক গুলো বিশ্লেষন করলে বুঝায় তরমুজের উপকারিতা অনেক বেশি প্রধান্য পেয়ে থাকে।তরমুজ সব বয়সের জন্য পুষিটকর একটি ফল । পানি শূন্যতা দূর করতে তরমুজ খুব ভালো কাজ করে থাকে ।