রক্তমাশায় রোগের খাবারের ২০টি তালিকা সমূহের বিবরণী

আমাশায় যেসব খাবার খেতে হয়রক্ত আমাশয় রোগীর খাবারের যে সমস্ত তালিকা আছে ।যেমন কাঁচা কলা গরম লিকার চা লবঙ্গ সহ খেতে হবে । চিনি হালকা গরম পানি দিয়ে খেতে হবে ।আরো যেগুলো খাবারের তালিকা আছে ।যদি জানতে চান ,তাহলে পোস্টটা আপনার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে ।

রক্ত আমাশয় যে সমস্ত খাবারের প্রয়োজন ।সেগুলো যদি সঠিক পর্যায়ে খাওয়া যায় ,তাহলে  রক্ত আমাশা সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়ে যায়। তো চলুন জেনে নেই, কি কি খাবার খেলে সম্পূর্ণভাবে রক্ত আমাশা ভালো হয় ।

পেজ সূচিপত্রঃ রক্তমাশা রোগে কি কি খাবার খেলে ভালো হয়।সে সমস্ত খাবারের তালিকা বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হয়

রক্ত আমাশা রোগ কি

রক্ত আমাশার রোগ হচ্ছে ঠান্ডা লাগার জনিত কারণে হয় ।আবার দূষিত খাবারের কারণে ও হয়ে থাকে ।তবে এগুলো থেকে যদি আপনি পরিত্রাণ পেতে চান ।তাহলে  আপনাকে খাবারের দিকে সবচাইতে বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে ।কোনটা ভালো খাবার এবং কোনটা নোংরা খাবার এ বিষয় গুলো সম্পর্কে বুঝতে হবে। রক্ত আমাশায় পায়খানার রাস্তা দিয়ে সাদা রকমের পায়খানা হয় আবার লাল রংয়ের রক্ত আমাশা হয় । তো চলুন এই আমাশা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার যে খাবারের তালিকা আছে সে সম্পর্ক বর্ণনা করি ।

আমাশা দুই প্রকারঃযথা

•  অ্যামিবা ঘটিত আমাশা
•  দন্ড বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত

পাঁচ বছরের বাচ্চাদের বা তার নিচে যেগুলো বাচ্চা রয়েছে তাদের এই আমাশা কম হয় ।এটি পরিপাকতন্ত্রের বৃদ্ধাদের বেশি হয় ।একটি পরিপাকতন্ত্রের হেসট্রালাইটিকা নামক পরজীবী দ্বারা আক্রমণিত হয়।আর এটি হল অ্যামিবা ঘটিত আমাশা যা পরজীবী দ্বারা আক্রমণিত হওয়ার কারণ ।

দণ্ড বা ব্যাকটেরিয়া আমাশাঃ

দন্ড বা ব্যাকটেরিয়া ঘটিত আমাশার লক্ষণ গুলো আছে ।যেটা সিগালসিস ব্যাকটেরিয়া কারণে হতে পারে। তবে গ্রীষ্মকালীন সময়ে বেশি হয় এর রোগ বেশি হয় । অনেকে মৃত্যুবরণ করে এটা একটি ভয়ানক রোগ যেটা শিগালসিস নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে হয়ে থাকে । এগুলো স্বল্পমেয়াদি আমাশা হয়ে থাকে ।যেগুলোকে সাধারণত এক সপ্তাহের নিচে বলা যেতে পারে ।

আরো পড়ুনঃকাঁচা আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও ২০টি উপকারিতা  কি কি

আমাশা রোগীর খাবারের তালিকা সমূহ

 যে রক্তমাশা রোগের খাবারের তালিকা রয়েছে ।সেগুলো আমরা অনেকে জানি আবার জানি তো ভালোভাবে জানার জন্য আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আসি।

রক্ত আমাশয় ডাবের পানির ভূমিকা

রক্ত আমাশ রোগে ডাবের পানির ভূমিকা আছে অনেক । এই পানিতে রয়েছে মিনারেল ও আয়রন। মিনারেল এবং আয়রনের কারণে আপনার আমাশা ভালো হয়ে যাবে ।এ পানি অনেক সুস্বাদু যে কোন বয়সের মানুষ এই পানি পান করতে পারে  ।তবে আমাশার ক্ষেত্রে ডাবের পানি যে ভূমিকা রাখছে এটি একটি আমাশার জন্য মাহা ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে ।

রক্ত আমাশয়ের কাঁচা কলার গুরুত্ব

রক্ত আমাশা হলে কাঁচা কলার যে উপকারিতা আছে ।এটি তরকারি করে খাওয়া যায় এবং কাঁচা ও খাওয়া যায় । তবে কাচা খেতে পারলে অনেক ভালো এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন ।কাঁচা কলা রক্ত আমাশা ভালো করার জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে ।তাই বলা যায় যে কাঁচাকলা রক্ত আমাশা করার জন্য মহা ভেষজ ঔষধ।

রক্ত আমাশয় লিকার লাল চা খাওয়া

রক্ত আমাশা ভালো করার জন্য অবিশ্বাস্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে লিকার লাল চা খাওয়া ।এটাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে আপনার আমাশার সাদা বা লাল রঙের উভয়ই ভালো করে ।লাল চা খাওয়ার সময় চায়ের সাথে লবঙ্গ বা আদা মিশিয়ে খেতে হবে ।এক্ষেত্রেও আমাশার ভালো হয়ে  যায় ।

আরো পড়ুনঃখাওয়ার পানি সঠিকভাবে বিশুদ্ধ করার উপায়।

চিনি মিশ্রিত গরম পানি খাওয়া

রক্ত আমাশার সাদা কিংবা লাল হলো ও সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়ে যায় ।এই চিনি মিশ্রিত গরম পানি খেলে এটা রক্ত বা সাদা আমাশয় এতটাই ওষুধ হিসেবে কাজ করে ।আপনি ভাবতে পারবেন না এটা প্রাপ্তবয়স্ক কিংবা শিশু বাচ্চাদের জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।   এর চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গর্ভবতী মায়েদের জন্য রক্ত আমাশা খুবই ভালো একটি প্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। গর্ভবতী মায়েরা কোন ওষধ যখন পাওয়া যায় না তখন এ সমস্যার জন্য এটি একমাত্র কার্যকারী হয় ।

রক্তমাশায় ফলমূল খাওয়ার ভূমিকা

রক্ত আমাশা হলে অতিরিক্ত ফলমূল খেতে হবে ।এগুলোর ভিতরে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার থাকতে হবে। যেমন পাকা পেঁপে পেয়ারা আপেল বেল এগুলা হচ্ছে পুষ্টি উপাদান খাবার এগুলো খেলে শরীরের শক্তি সঞ্চয় হয় ।এখানে আপনি অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে পারেন কারণ বেলের শরবত খেলে  পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং রক্ত আমাশার ভালো করার জন্য আরেকটি কার্যকরী উপায় ।

ভাত রুটি খাওয়া উপকারিতা

রক্ত আমাশা রোগের আরেকটি খাবারের তালিকার মধ্যে পড়ে ভাত রুটি খাওয়া । ভাত এবং রুটিতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইডেট থাকে। প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে শরীরকে সতেজ এবং স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে নিয়ে আসে তাই বলা যায় যে খুব ভালো একটি উপকারী খাবার ।

ঘরোয়া উপায়ে স্যালাইন তৈরি করে খাওয়া

রক্ত আমাশার জন্য যে সমস্ত খাবারের তালিকা রয়েছে তার মধ্যে হচ্ছে লাইন তৈরি করে খাওয়া। এটি হচ্ছে এমন একটি খাবার যে খাবারটি খেলে পারে আপনার শরীর চাঙ্গা হয়ে যাবে। রক্ত আমাশয় শরীর দুর্বল হয়ে গেলে এই ঘরোয়া উপায়ে স্যালাইন যদি খান তাহলে আপনার শরীর চাঙ্গা হয়ে যাবে।

স্যালাইন বানানোর নিয়মঃ এক গ্লাস পানি দিয়ে এক চিমটি লবণ এক চা চামচ চিনি এর সাথে আপনি গুড় এক চা চামচ মিশিয়ে খালি পেটে সকালে এবং রাত্রে খেলে  আপনার আমাশা সম্পূর্ণভাবে ভালো হয়ে যাবে।

রক্তমাশায় আলু খাওয়ার উপকারিতা

রক্ত আমাশা রোগের খাবার তালিকা মধ্যে যে খাবারগুলো পড়ে ।তার মধ্যে উপকারী খাবারের হচ্ছে আলু। আলুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড উপাদান থাকায় এই খাবারটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।রান্না না করে সিদ্ধ করে খেলে বেশি উপকার হয় । এছাড়া মিষ্টি আলু খাওয়া যায় তবে এই আলুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড থাকার কারণে ,দীর্ঘমেয়াদি  আমাশা সাথে যারা ভুগছেন তারা এই  আমাশা থেকে মুক্তি পাবেন আশা করা যায় ।

আরো পড়ুনঃদাতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর উপায় 

রক্ত আমাশায় শাকসবজি জাতীয় খাবার

রক্ত আমাশা হলে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে ।যেগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়রন  আছে ।যা দুর্বল শরীরের শক্তি ফিরে আসে ,এবং শরীরকে সতেজ মনকে ফুরফুরে রাখবে । শাকসবজি খাওয়ার জন্য যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অনেক ক্যালরি ভিটামিন এবং কার্বোহাইড্রেট ।এগুলোর কারণে শরীর ফিট হয়ে যায় ।তাই প্রচুর পরিমাণে যেসব সবজিতে আয়রন রয়েছে ।সেসব সবজিগুলো বেশি বেশি খেতে হবে তাহলে শরীরকে ঠিক রাখা যাবে ।

সুফ তৈরি করে খাওয়া

যেসব রোগীদের অতিরিক্ত রক্ত আমাশা আছে ।তাদেরকে শক্ত কোন খাবার না দিয়ে পাতলা খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়াই ভালো ।যেমন সুফ জাতীয় খাবার এটা শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে । সুফের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যুক্ত করে খেতে হবে ।

হালকা কুসুম গরম ডিম সিদ্ধ করে খাওয়ানো

রক্ত আমাশা রোগের খাবারের তালিকায় যে সমস্ত খাবারগুলো পড়ে তার মধ্যে অন্যতম আরেকটি খাবার হল সিদ্ধ করে ডিম খাওয়ানো। সিদ্ধ ডিম খেলে  আমাশা অনেকটাই কন্ট্রোলে চলে আসবে। তবে দেশি মুরগির ডিম হলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকার কারণে সহজে আমাশা রোগ থেকে মুক্তি মেলে ।

ফলের রস /রক্ত আমাশয় খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা

যেগুলো তরল খাবার রয়েছে রক্ত আমাশার জন্য সেগুলো অত্যন্ত কার্যকরী খাবার । এই খাবারগুলো শরীরের কার্বোহাইড্র ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং শরীরকে  সুস্থ করে তোলে ।বেদানা ফলের রস খেলে শরীর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়  ।তাই বেদানা ফলের রসের রক্ত আমাশার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে কাজ করে ।

রক্ত আমাশয়ের বাদাম খাওয়ার উপকারিতা 

রক্ত আমাশা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা বলতে গেলে বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে এবং এটি একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর খাবার ।এই খাবার খেলে আপনার পেটের যে সমষ্যা রয়েছে ,সেটি অল্পতে সেরে উঠতে পারে ।তাই রক্তমাশায় বাদাম  খাওয়ার গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন ।

রক্ত আমাশা হলে যেসব খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ

রক্ত আমাশা হলে যেসব খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ সেগুলো বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো

দুধ বা দুগ্ধ জাতীয় খাবার

রক্ত আমাশা হলে দুধ খাওয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ।কারণ দুধ খেলে  শরীরের আমাশার জোর বেশি দিবে  ।আই বি এস বা ইডিটেবল বাএল সিনড্রোম পুরাতন আমাশায় হয়ে থাকে ।আর পুরাতন আমাশায় এই দুগ্ধ জাতীয় খাবার খেলে আপনার আমাশা আরো বৃদ্ধি পাবে ।এজন্য দুধ খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো।

ফাস্টফুড জাতীয় খাবার

ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার যেগুলো বাজারে বা শহরে রান্নাবান্না হয় ।সেগুলো খাবার খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন ।কারণ এগুলা নোংরা জাতীয় খাবার এ খাবার খেলে শরীর খারাপ হয়ে থাকে । অতিরিক্ত চর্বি চিনি জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো  ।এবং অনেক পুরানো তেল দিয়ে এগুলা রান্না করা হয় এজন্য এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

দুধ কফি আমাশার জন্য নিষিদ্ধ

দুধ কফি আমাশার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর খাবার ।এই খাবারটি খেলে বাচ্চা থেকে শুরু করে বৃদ্ধাদেরও বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে । দুধে রয়েছে আমাশা বাড়ানোর লক্ষণ। তাই আমাশয় দুধ খাওয়াকে বর্জন করুন ।

আরো পড়ুনঃকিডনিতে পাথর হলে কি করতে হবে  বা  কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার

আমাশা হলে করণীয় সমূহ

1. আমাশা হলে যেসব কাজ করতে হবে সেগুলো নিম্ন বর্ণনা করা হলো
2. আমাশা হলে স্বাস্থ্যবিধির মেনে চলতে হবে ।পায়খানায় যাওয়ার যার পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে এবং বের হওয়ার সময় তেও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। 
3. ঘন ঘন পরিষ্কার পানি খেতে হবে । যাতে শরীরে পানি শূন্যতা না হয়ে যায় ।অতিরিক্ত শারীরিক ব্যায়াম করা যাবে না  ।বরং যতটা সম্ভব বিশ্রাম নিতে হবে ।আরমদায়ক স্থানে শুয়ে থাকতে হবে।
4. সব সময় ফুটানো পানি পান করতে হবে এবং কলের বা ট্যাবের পানি খাওয়া যাবে না।
5. নিয়ম মাফিক এন্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে ।কোন ভেষজ ওষুধ খাওয়া যাবে না।
6. অপরিষ্কার জামাকাপড় পড়া যাবে না ,নিজেকে সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে ।
7. বাচ্চাদেরকে নিজেদের থেকে একটু দূরে রাখতে হবে ,যেন তাদের সংক্রমণ না হয় ।
8. যত সম্ভব বেশি বেশি করে স্যালাইনের পানি খেতে হবে ।
9.  দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।

যতটুকু সম্ভব বাসাতে স্যালাইনের পানি তৈরি করে খাওয়ানো ভালো এতে করে তাড়াতাড়ি রোগী সুস্থ হয়ে যায়।

উপসংহার

রক্ত আমাশা রোগ হলে যেসব খাবার খেতে হবে। । সে সমস্ত খাবার গুলো অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে  ।উপরে বর্ণিত যে সমস্ত খাবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেগুলো অবশ্যই বর্জন করতে হবে ।এবং নিজেকে সবসময় ফিট রাখতে হবে খাবার খাওয়াতে কোন কমতি করা যাবে না ।তাহলে রোগ আবার বৃদ্ধি হবে। রক্ত আমাশা রোগের কারণে বছরে প্রায় 0.0 5 শতাংশ শিশু ও বৃদ্ধা মৃত্যুবরণ করে ।

অবশেষে বলা যায় যে রক্ত আমাশা হলে  অবশ্যই উপরের বর্ণিত খাবার গুলো খেতে হবে।এবং নিজেকে সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে ।সব সময়ের জন্য সাবান ব্যবহার করা দরকার  ।আর পরিবারের সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে  ।বিশেষ করে শিশুদের দিকে এবং বয়স্কদেরবেশি খেয়াল রাখতে হবে । এদেরকে সহজে আক্রমণ করতে পারে ।