কিডনিতে পাথর হলে কি করতে হবে বা কিডনি পাথর গলায় কোন খাবার

SOHEL🌄

কিডনি আমাদের শরীরের অমূল্য একটা সম্পদ।কিডনি বেঁচে থাকার জন্য ও শরীর কে সুস্থ্য রাখার জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করে থাকে। এজন্য শরীরকে সবসময় সুস্থ ও সচেতন রাখতে হবে।

কিভাবে কিডনিকে সুস্থ রাখা যায়। বা ভালো রাখা যায়। কিভাবে কিডনি পাথর দূর করা যায়। সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। কিডনির সমস্যাগুলো আলোকপাত করা হলো।

পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে কিডনিকে সুস্থ রাখা যায়। বা ভালো রাখা যায়

পানি পান করার মাধ্যমে কিডনির পাথর ভালো হায়।
কিডনির পাথর ভালো করার জন্য ক্যালসিয়ামের খাবার।
কিডনি ভালো রাখতে এক্সিলেট জাতীয় খাবার কম খান।
কিডনিকে ভালো রাখতে হলে লবণ কম খান।
কিডনিকে ভালো রাখতে হলে লবণ কম খান।
কিডনিকে ভালো রাখতে চিনি কম খান।
শশা জাতীয় খাবার খান কিডনি পাথরের ভালো হওয়ার জন্য।
তুলসী পাতা কিডনি পাথর সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
কিডনির পাথর ভালো করায় তরমুজের ভূমিকা।
কিডনির পাথর ভালো হয় লেবুর রসে।

১। কিডনিকে পাথরের যন্ত্রণা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হলে যে বিষয়গুলো মনে করতে হবে। সম্পর্কিত জ্ঞান আমাদের নেই বললেই চলে। অনেক বিজ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞরা বলেন কিডনির পাথরের সমস্যা বেশি ভোগেন পুরুষেরা। তবে কিছু বিষয় জানা থাকলে পারে। কিডনির পাথর হওয়া থেকে প্রতিরোধ করা যায়। কিডনিতে পাথর দূর করার কিছু উপায় সমূহ।

২। কিডনির পাথর মূলত পোশাবের মাধ্যমে ফিল্টার হয়ে প্রসবের সাথে বের হয়ে যায়। কতদিনে কমপক্ষে পানি করা প্রয়োজন। যেটা শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। প্রতিনিয়ত কাজের সময় পুরুষের শরীরে ডিহাইডেশন হয়ে থাকে। এত করে শরীরের লবণ পানি বের হয়ে যায়। শূন্যতার কারনে কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণ থাকে। নিম্নে কিডনির পাথর প্রতিরোধ হওয়া থেকে যেসব কাজগুলো করতে হবে। তার উপায় সমূহ করা হলো।

৩। কিডনির পাথর হওয়া কারণগুলোর মধ্যে বংশগতভাবে হয়ে থাকে। কিডনির পাথরের উপর সব নালীতে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয়ে থাকে। যেটা শরীরকে নিস্তেজ করে তোলে। যে ব্যাথা শরীরে ২০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত ব্যথা অনুভব। প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া পরিবেশে এই পাথর দূর করার কিছু নিয়মাবলী বর্ণনা করা।

আরো পড়ুনঃ দাতের মাড়ি ফোলা ও ব্যথা কমানোর উপায়

৪। কিডনিতে পাথর বা রেনাল ক্যালকুলি কিডনি বা প্রসাবনালীতে একটি শক্ত স্ফটিক পদার্থ গঠন করে থাকে। এ পদার্থ কে আমরা কিডনির পাথর বলে থাকি। এ পাথর দুরি করার উপায় সমূহ বর্ণনা করা হলো। যদিও কিনতে পাথর হয়ে থাকে যেসব কারণে পাথর হয়ে থাকে কিছু গুষ্টির লোকের মাধ্যমে ওর সম্ভাবনা বেশি হয়।

ঘরোয়া পরিবেশের মাধ্যমে কিডনির পাথর দূর করার উপায় সমূহ বর্ণনা করা হলো।

পানি পান করার মাধ্যমে কিডনির পাথর ভালো হায়।

একজন সুস্থ সবল মানুষের শরীরে যখন পানি ঘাটতি হয়। তখন কিডনিতে পাথরের সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেলে পাথর প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। পানি কিডনি পাথর পরিষ্কার করে ক্রিস্টাল তৈরিতে বাধা দেয়। যার মাধ্যমে পাথর প্রতিরোধ করতে মূল ভূমিকা পালন করে। তাই বলা যায় যে ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন এর মতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেলে। কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশই কমে যায়।

কিডনির পাথর ভালো করার জন্য ক্যালসিয়ামের খাবার।

কিডনিতে যদি পাথর হয়ে থাকে তাহলে ক্যালসিয়ামের খাবারের মাত্রা অধিকাংশ বেড়ে দিতে হবে। এ কারণেই পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কোন একটা গবেষণার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ জাতীয় দুগ্ধ ক্যালসিয়াম কিডনির পাথরের ঝুঁকি কমায়। আবার অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম পাথর হওয়ার সম্ভাবনা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।

আরো পড়ুনঃচুলের যত্নে কালোকেশীর ব্যবহার বা কেশুতি পাতার ব্যবহারের নিয়ম

কিডনি ভালো রাখতে এক্সিলেট জাতীয় খাবার কম খান।

কিডনি কে ভালো ও সুস্থ রাখতে এক্সিলেন্ট জাতীয় খাবার কম খেতে হবে। খাবারগুলোর মধ্যে হল। চকলেট, স্ট্রবেরি, পালং শাক ইত্যাদি সমূহ। কেননা এগুলোর মাধ্যমে কিডনিতে পাথর তৈরি করা সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই এগুলো থেকে নিজেকে সবসময় দূরে।রাখতে হবে।

কিডনিকে ভালো রাখতে হলে লবণ কম খান।

কিডনিকে ভালো রাখতে হলে লবণ কম করে খেতে হবে। সোডিয়াম পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে। এ সমস্যায় করতে পারে। আর এটা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। এর মাধ্যমে প্রসাবেনপ্রোটিন বেড়ে যায়। এটাতে কিডনি রোগে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

কিডনিকে ভালো রাখতে চিনি কম খান।

কিডনিকে ভালো রাখতে হলে আপনাকে প্রথমে চিনি কম করে খেতে হবে। বেশি চিনি খেলে কিডনির ফলাফল ভালো হবে না। এত করে কিডনির কার্ড যত পরিমাণ ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এটি ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর সাথে সাথে ভারসাম্যহীন কাজ করে।তাই চিনি খেলেও খুব সাবধানের সাথে খেতে হবে।

কিডনি ভালো রাখতে লাল মাংস কম খাবেন।

কিডনিকে ভালো রাখতে হলে আপনাকে প্রথমে লাল যে সেগুলো মাংস আছে সেগুলো পরিহার করতে হবে। লাল মাংস তো প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। সুস্থ শরীরের জন্য ভালো হতে পারে কিন্তু যদি একবার পাথর ভালো করে যায় কিডনির ভিতরে তাহলে আপনি বিপাকে পড়ে যাবেন। মানে আপনির কিডনিতে পাথর তৈরি হয়ে যাবে। আশ জাতীয় সবজি ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম রয়েছে এমন সবজি খান।

শশা জাতীয় খাবার খান কিডনি পাথরের ভালো হওয়ার জন্য।

শশা জাতীয় খাবার কিডনির পাথর ভালো হওয়ার জন্য অন্যতম কাজ করে থাকে। অসাধারণ হয়েছে অনেক পরিমাণ ইম্যাগনেসিয়াম। এটা সকালে বিকালে দুপুরের যখনই আপনি সময় পেয়ে যাবেন সেটা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে কি হবে আপনার কিডনির পাথরটি গলিয়ে ফেলে মূত্রনালীর ভেতর দিয়ে বের হয়ে আসবে। খাবারের তুলনা অনেকাংশে বেশি।

তুলসী পাতা কিডনি পাথর সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

তুলসির পাতা স্বাভাবিকভাবেই কিডনির জন্য ভালো মানের কাজ করে থাকে। কিডনি ভালো করার জন্য এক চা চামচ তুলসী পাতা ও এক চা চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে খেলে পরে প্রতিদিন সকালে রাত্রে। আপনার কিডনির পাথর অতি তাড়াতাড়ি মূত্রনালীর ভেতর দিয়ে বেরিয়ে যায়। দুই থেকে তিনটি পাতা চিবিয়ে খেলে পাথরের ব্যথা কম হয়।

কিডনির পাথর ভালো করায় তরমুজের ভূমিকা।

কিডনির পাথর ভালো করার জন্য তরমুজের যে ভূমিকা রয়েছে। সেটা পানি হলো পটাশিয়াম। যেটা সুস্থ কিডনির জন্য অপরিহার্য কাজ করে থাকে। তরমুজ প্রসাবের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের জুস পান করলে পরে কিডনির পাথর প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো হয়ে যায়।

টমেটো রস কিডনি পাথর ভালো করার ভূমিকা।

টমেটোর রস কিডনিতে লবণ পানি দ্রবীভূত করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস টমেটোর রসের সাথে এক চিমটি লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে পান করুন এতে করে লবণগুলো পাথর গঠনের বাধা দিয়ে থাকে। তাই বলা যায় যে টমেটোর রস কিডনির পাথর ভালো হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভালো হওয়ার কারণ হতে পারে।

কিডনির পাথর ভালো হয় লেবুর রসে।

কিডনির পাথর ভালো হওয়ার মধ্য ঘরোয়া আর একটি উপায় হল। দেশী লেবুর রস যা সাইট্রিক এসিড সমৃদ্ধ ক্যালসিয়াম ভিত্তিক কিডনিতে কাজ করে থাকে। এটা কিডনির পাথর ভাঙতে সাহায্য করে আর মূত্র নালীর ভেতর দিয়ে পাথর বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন সকালে তিন গ্লাস লেবুর পানির রস খেলে প্রসাবের পরিমাণ বাড়বে। এত করে প্রাকৃতিক উপায়ে পাথর অপসারণ হয়ে যাবে।

আরো পড়নঃছেলেদের মুখের ব্রণ দূর করার ১০ টি উপায় সমূহ

পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে যাদের।

যেসব বয়স্ক মানুষদের পাথর হওয়ার সম্ভাবনা হয়ে থাকে । কিছু গোষ্ঠীর কারণে হয়ে থাকে। এদের মধ্যে যারা রয়েছে তাদের বর্ণনা দেওয়া হবে।

পুরুষদের

গর্ভবতী মায়েদের ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী লোকদেরযাদের কিডনিতে পূর্ববর্তী ইতিহাস রয়েছে

পরিবারের মধ্যে যাদের কিডনির পাথর রয়েছে।

কিডনি পাথর হওয়ার কারণ সমূহ।

যেসব কারণে কিডনি পাথর হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো। প্রসবের পরিমাণ হ্রাস হওয়া। নিম্নে কিছু সাধারণ কারণ বর্ণনা করা। যথা

কম তরল গ্রহণ।

কঠোর ব্যায়ামের কারণে।

প্রসাবের বাইরে যেকোনো ধরনের ব্যথা।

মন্ত্রণালীর সংক্রামন।

কারণে প্রসবের পরিবর্তন।

আরো পড়ুনঃহাত পা অবশ হওয়ার ১৫টি কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানুন

কিডনিতে পাথর হলে যে ধরনের চিকিৎসা নেয়া যায়।

আপনাকে নিতে পাথর হলে যে ধরনের চিকিৎসা নিবেন তার মধ্যে অন্যতম হলো নেপ্রো জিস্ট পাথরে আকার। বড় ধরনের উপসর্গ। আপনার পাথর যদি ফাইভ মিমি বা তার যদি বেশি হয় তরল পদার্থ খেলে পরে একবার দুইদিনের মধ্যে তা বের হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এরপর যদি পাথর বের না হয়ে থাকে। তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

শেষ কথাঃ

কিডনির পাথর ভালো হওয়ার জন্য আপনাকে আমাকে যেসব পদক্ষেপ নিতে হবে তার মধ্যে হলো অন্যতম উপায় হলো বেশি করে পানি পান করা। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে পরে কিডনির পাথর মুত্রনালীর মধ্যে দিয়ে বের হয়ে চলে আসছে সাহায্য করে।

তাই বলা যায় যে কিডনি মানব দেয়ার জন্য অমূল্য সম্পদ হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত ভালো জাতীয় খাবার খাওয়া যে সুস্থ ও সুন্দর দেহ গঠনে সাহায্য করে।