কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়

SOHEL🌄

9 Dec, 2024

কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায় বা কম খরচে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়

কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায় বা কম খরচে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়।এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকে শ ংখায় থাকেন বা ভয় পান।অনেকে মনে করেন যে বাইরে দেশে ঘুরতে গিয়ে, অনেক টাকা খ রচ হয়ে যাবে।

এজন্য আমরা বিদেশ ভ্রমন করতে ভয় করি ।তাই আপনাদের জন্য কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায় বা কম খরচে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায়। এই বিষয় আলোচনা ক রলাম।

পেজ সূচীপএঃ কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায়।বিষয়বস্তুর বিবরণী

কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায় বা কম খরচে কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় । আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করি । এমন সব কিছু নিয়ে ভাবি যেনো টাকার কারণে বাইরে ঘুরতে যেতে পারবো না।

এখন যদি আমি বলি যে ,একটু মাথা খাটিয়ে যদি চলা যায় তাহলেভূটাণ এর হিমালয় পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমন। অনেক কম টাকায় যে কোন দেশ থেকে ভ্রমন করে আসা স ম্ভব।তাছাড়া ও আপনি অল্প পুজিতে বিদেশ থেকে বেড়িয়ে আসতে অগ্রীম কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নিলে।নিম্নে বিস্তারিত ব র্ন্ননা দেওয়া হলো।

আরো পড়ুনঃবর্তমান সময়ে কম টাকায় কম খরচে দেশে বাইরে যাওয়ার সুবিধা সমুহ

কম টাকায় বিদেশ ঘুরতে যাওয়ার বিষয়বস্তুর বিবরণী।

১।.কম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায় এ বিষয়ে আপনাকে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা শুরু করতে হবে।কারন হঠাত কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘুরতে গেলে অনেক টাকা লেগে যাবে। এ জন্য যে সব পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করে ঘুরতে যেতে হয় । সে সব সিদ্ধান্ত গুলো নিন্মে আলোচনা ক রা হ লো।

২।পূর্বপ্রস্তুতি মধ্যে প্রথম যে পদক্ষেপ তাহলো অগ্রীম টিকিট কেটে রাখা।এতে করে আপনার অনেক টাকা খরচ থেকে বেচে ।আর জরুরী সময় অনেক চড়া দামে বাস ট্রেন বা বিমানের টিকিট কিনতে হয়।

এজন্য আগেই সিদ্ধান্ত গ্রহ ন ক রা জ রুরি প্রয়োজন।

৩ ।.পাসপোর্ট ব্যাপারে বলতে যদি যায় ।তাহলে প্রায় ৪ মাস সময় লেগে যাবে ।এরপর ভিসার কথা বলি ,ভিসার কথা বলতে আরো প্রায় ১ থেকে দেড় মাস সময় । এর কারণে অগ্রীম ডিসিশ ন নিতে হবে।

৪।জায়গা নিধারনি । জায়গা বা দেশ নিধারনি যদি বলতে যায় তাহ লে আপনাকে আগে থেকে চিন্তা ভাবনা শুরু । তা নাহলে বেশি টাকা খ রচ হয়ে যাবে । যে সব দেশে ঘুরতে গেলে খরচ কম হ বে।সে সব দেশ সম্পর্কে বর্ন্ননা ্করা হলো।

ভারতের আন্দমান দীপ পর্যটন কেন্দ্র।

আন্দমান দ্বীপ ভারতীয় অঞ্চলের একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। বংগোপসাগর ও আন্দমান সাগর ভারতীয় উত্ত র অঞ্চলে অবসতীত রয়েছে ।এই কেন্দ্র টি যদি ঘুরতে যান তাহ লে আপনার অল্প খ রচ ভ্রম ন ক রতে পারবেন।এখানে দেখতে পাবেন সূর্য্যয়াস্তের লিলাভূমি। এখানে রয়েছে নিকোব রের ব্যারেন দ্বীপ ।যা দক্ষি ন এশিয়ার এক মাএ আগ্নেয়গিরি।আন্দমান দ্বীপ থ্যাইল্যান্ড ও মায়ান মার কা বিছিন্ন ক রেছে । এখানে প্রাগতিহাসিক জনবস্তি রয়েছে।যেটা দেখে আপনার ভ্রম ন সার্থক হয়ে যাবে।

এই জনবস তি একতৃতীয় অংশ মানুষ বাংলা ভাষায় ক থায় ব লে।স ংগ্রামি বিল্ব বের স ময় এখানে অনেক বাংগালি কারা বন্দী হয়।এর কারনে এখানে ভাষা বাংলা.১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের স ময় ব্রটিশ স রকার এখানে একটি কারাবন্দী স্থাপনা ক রেন।একারনে এখানের ভাষা বাংলা। পর্যটন কেন্দ্রঃ

এখানে আছে উপ সাগরে মধ্যে সূর্য্যয়াস্তের রক্তিম লিলাভূমি ও আগ্নেয়গিরি দ্বীপপুঞ্জ। যা আপনাকে ম নো মুগ্ধ ক রে তুলবে।

সিঙ্গাপু্র ফ্লাইয়ার পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমন।

সিঙ্গাপুর সারা বিশ্বের মানুষের কাছে একটি দর্শনীয় স্থান বা পর্যটণ কেন্দ্র।সঙ্গাপুরের দর্শ নীয় স্থানের মধ্যে আছে মেরিনা বে-তে অবস্থিত সঙ্গাপুর ফ্লাইয়ার ।এটাকে সিঙ্গাপুরের প্রতিক হিসাবে রাখা হয়েছে।ফ্লাইয়ার বিশ্বের ঊচু নাগ রদোলা নামে প রিচিতি লাভ ক রেছে।যার উচ্চতা ১৬৫ মিটার।এর ফ্লোর ৩টি ভাবে বিভক্ত।ফ্লাইয়ার দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়।আরো পড়ুনঃসিঙ্গাপুরের দশটি দর্শনীয় স্থান

১।সিঙ্গাপুর ফ্লাইয়ার যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমান । মালিন্দ বিমান , জেড এয়ার ওয়েজ এবং মালোশিয়ান এয়ার লাইন্স বিমান চলাচল ক রে থাকে ।যেতে আপনার ১৫ থকে ২০ হাজার লাগবে।মেট্ররেল এ ভ্রম ন করলে অনেক খরচ কম হবে ।এখানে আপনার অনেক টাকা সাশ্রয়ী হবে ।

২।ভিসার জন্য আপনাকে ঢাকা য় ভিসা অফিসে যেয়ে ফরমালিটি পূরন করে জমা দিতে হবে ।এর প রে কিছু সময় নেওয়া পর ১৫ বা২৫ দিনের মধ্যে ভিসা দিয়ে দিবে ।তারপ র অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট কিনে ফ্লাইট এর স ময় হ লে চলে যাবেন আপনা সিঙ্গাপুর সিটি।

মালদ্বীপে বারোস আইল্যান্ড পর্যটন কেন্দ্র।

মালদ্বীপ এর বারোস আইল্যান্ড পর্যটন কেন্দ্র প্রশাসনিক তত্তবাধানে গড়ে উঠা লাকযারিয়াস রিসোর্ট এর সাথে জুড়ে আছে দ্বীপ। এখ্যানে যেতে হলে খরচ একটু বেশি হতে পারে ।কিন্তু সেখানে যদি যাওয়া যায়।আর খ রচ যদি বেশি হয় ।আপনি ঘুরে মজা পাবেন প্রকৃতির মিশে।পর্যটক ভালো থাকার জন্য এই স্থান কে সুন্দর করে সাজানো রয়েছে ।

স মুদ্রিক যত অঞ্চল আছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বারোস আইল্যান্ড।এখান কার আব হাওয়া সব স ময় প্রতিকুল পরিবেশে থাকে।এয়ার পোট থেকে মাত্র ২৫ কিমি. দূরে মালদ্বীপে বারোস আইল্যান্ড পর্যটন কেন্দ্র।এখানে জল রাশি মধ্যে লেনুনে ড্রাইভিং ক রার অভিনব সুযোগ।এখানে মিল বে সামুদ্রিক স্বচ্ছ পানির ভিত রে কোরালের আবাস স্থল।এটা দেখা মাএই আনন্দ কোলা হ ল মুখ রিত হয়ে উঠ বে চারিপাশ।

মালোশিয়া আরেক নামেও বিখ্যত সেটা হলো অতিথি আপ্যায়ণ তারা পারর্দশী।এখানে রয়েছে ছোট ছোট দ্বীপ। যদি ঘুরতে চান তবে আলাদা খরচ বহন ক রতে হবে আপ্নাকে।এক জনের খ রচ আসবে প্রায় ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।আরো খ রচ ক মে যাবে যদি আপনি রিসোর্ট থেকে এ ক টু রাত্রি যাপ ন করেন।

ইন্দোনেশিয়া গিলি আইল্যান্ড পর্যটন কেন্দ্র।

লম্বকের বড় আইল্যান্ড বা ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বড় আইল্যান্ড হ লো গিলি আইল্যান্ড পর্যটন কেন্দ্র। গিলি মেনো ও গিলি এয়ার নামে ছোট ছোট তিন টি দ্বিপ নিয়ে গ ড়ে উঠা ইন্দোনেশিয়া গিলি আইল্যান্ড ।

প্রকৃতির সাথে মিশে আছে স্মুদ্রিক জল রাশি ও দ্বীপ।পুঞ্জ।

জন সংখ্যা ও ভূমি দিয়ে গঠ ত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার মত বৃহৎ দেশ।এখানে প্রায় ছোট বড় মিলে দ্বীপ রয়েছে ১০১৮০ টি মত।এরা ভাষা জানে প্রায় ২৫০ মত।প র্যটন কেন্দ্র অনেক আছে ,আসুন জানি কি কি আছে এখানে।

১। গিলি আইল্যান্ড বা লম্বক এর সবচেয়ে বড় দ্বীপ হলো গিলি আইল্যান্ড। মেনো দ্বীপ সহ মোট দ্বীপ আছে।এটা কে গিলি দ্বীপ বলে।

২।বোরবুদুরঃ বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত বোদ্ধমন্দির রয়েছে এই জায়গায় ।যেটি জাভা থেকে ৪০কি মি উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত।অনুমানিক ২ মিলিয়ন ব্লক পাথর দ্বারা র্নিমিত হয়েছে। এছাড়া ও আছে তোরাজাল্যান্ড, কমোডো জাতিয় উদ্যান।

আরো পড়ুনঃ কানাডা ফ্যামিলি ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ

থাইল্যান্ড পাতায়া সমূদ্র সৈকত ভ্রমনঃ

ব্যাংকক হলো থাইল্যান্ড এর রাজধানি।এখান থেকে পাতায়া যেতে সময় লাগবে ১.৫ বিমানে ,আর বাসে যদি যায় তাহলে ৪ঘন্টা।দূরত্ব প্রায় ১৫৮ কিঃমি।এখানে উত্ত র দখিনে ২.৭ কিমিঃ মিটার দীর্ঘ স মুদ্র সৈ ক ত ।থাকা খাওয়া স হ সি বীচে সব মিলিয়ে নিরিবিলি ও ম ন মুগ্ধ ক র প রি বেশ ফুটিয়ে তোলে ।জানুয়ারীর শেষে ও ফ্রেব্রুয়ারীর শুরুর দিকে ভ্রম নে উপযুক্ত স ম য়।

কম খরচ এর ব্যাপারে ব লতে গেলে তুলনা মুলুক ভাবে একটু বেশি খ রচ হবে।আপ নি যে রাইডিং ক রেন খ রচ বেশি হ বে।তবে এই সিটির যে খানে ভ্রম ন ক রবেন ,তুলনা মুল ক এক টু ব্যয় বেশি হ বে।

ভূটাণ এর হিমালয় পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমন।

প্রকৃতিতে ভ রা এবং সৌর্ন্দয্য অপ রুপ লীলা আছে এই ভূটান সিটিতে ।যেটা দেখে পর্যটক গন মন স্থির না করে পারবেন না।মঠ দূগ ও নয়নাভিরাম সৌর্ন্দয্য পর্যটকদের মন আকৃষ্ট করে রাখে।ভূটানের বিখ্যাত নাম" দ্রুক উইল"বা স্বর্গে ড্রগন নামে প রিচিতি আছে।

প্যারো হলো এই শহরের পবিএ নগরি।আর এই শহর দিয়ে বয়ে গেছে দুই টি নদী।নদী দুটো চু এবং ওয়ান চু যেটা শহরের ভাব মূতি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।এখানে আপনার খরচ অনেক কম হবে।

আরো পড়ুনঃ থিম্পু শহরে আছে রং বে রংগের পাহাড়।

মায়ানমার ইয়াংগুন ও ইনলে লেক ভ্রমন

মায়ানমার এর আরেক টি নাম হলো বার্মা।আর বার্মা হ লো প র্যটক বান্ধব দেশ । বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর পশ্চিমে উত্তর পূর্বে চীন দখিনে পূর্বে থাইল্যান্ড অবস্থিত।ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানে ও নভো এয়ারে সরাসরি যাওয়া যায়।প র্যটক দের কাছে পিপা অনেক দামী জায়গা ।যেখানে ঝর্না ও জল প্রপাত যেটা দেখে মুগ্ধ হ বেন সবাই।

শ্রীলংকার বুদ্ধমন্দীর কলম্বো ভ্রমন।

শ্রীলংকার বুদ্ধমন্দীর কলম্বো ভ্রমন কোন প র্যটক মিস করতে চান না।দর্শনীয় স্থানএর মধ্যে শ্রীলংকার বুদ্ধমন্দীর কলম্বতে আছে মন মুগ্ধকর উদ্যান।যেখানে গেলে পর্যটকরা সার্থকতা অনুভাব মনে করেন।

স্কাইলাইন ভিউ ও হিব্রু সূর্যয়াস্তের সময় আর স্কাইলিন এ আছে ঝর্নার জলপ্রপাত।

এখানে অল্প টাকায় ঘু রে আস তে পারেন।

আরো পড়ুনঃ এশিয়ার দশ টি দ র্শ নীয় স্থান সমুহঃযেসব স্থানে আপনাদের যাওয়া প্রয়োজন সে গুলো এই দশটি দেশে মধ্যে ই আছে।

জপান সূর্য্য দয়ের দেশ

জাপান কে সূর্য্য উদয়ের ব লে জানে সারা বিশ্ব।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের স ময় হিরোসিমার রাজধানি অনেক ক্ষয় ক্ষ তি হয়।এর পর থেকে যাপানের সোন্দয্য বিলিন হয়ে যায়।সময়ের বিবর্তনের মাধ্যেমে আস্তে আস্তে রুপ রেখা ফিরে আসে।পৃথিবীর উপ রি ভাগে অবস্থান হওয়ায় সূর্য্যের আলো এসে প্রথমে পড়ে এদেশে।এখানে দেখার মত অনেক কিছুই আছে।যাপানের রাজধানি টোকিও ঘুরতে গেলে বেশ কিছু টাকা গুন তে হবে।

উপস ংহাঃক ম টাকায় কোন দেশে যাওয়া যায় এটা নিয়ে কিছু ক থা ব লতে গেলে , ব লা যায় যে বাং লাদেশের আশে পাশের রাষ্ট গুলো যেম ন ভারতে মধ্যে অনেক কিছু দেখার মত কাস্মির দারজেলিং রাজস্থান।তারপ র এশিয়ার যে রাষ্ট রয়েছে।সেগুলোতে ভ্রম ন ক রতে খুব ক ম টাকায় ঘুরে বেড়িয়ে আসতে পারবেন।

তাই ব লা চলে যদি ক খনো ভ্রম নে যান ক ম খ র চের মধ্যে তাহ লে এশিয়ার রাষ্ট গুলো ,বাংলাদেশে থেকে ভ্রম নে যেতে পারেন।এ ক্ষে এ আপনার স ময় ও টাকা দুটিই শাস্রয়ী হবে।