কানাডা ভিসা ফ্রি ফর্ম বাংলাদেশ বা কানাডা ফ্যামিলি ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ

SOHEL🌄

30 Dec, 2024

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ। কানাডা ফি ভিসা পাওয়ার জন্য পাওয়ার জন্য অনেকে, আগ্রহী হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকম কাজের জন্য এদেশে মানুষ হয়ে থাকে। কানাডায় ভিসা ফি কত।

সেটা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিতে চান। কানাডায় দুই ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। একটা হল জব ভিসা আর একটি হল স্টুডেন্ট ভিসা। নিম্নের কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ। সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

পেজ সূচিপত্রঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ। বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।

কানাডার ফি ভিসা কত বাংলাদেশ থেকে, সেটা নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিতে চাচ্ছেন। কানাডা দুই ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। একটি হচ্ছে জব বেশ আরেকটি হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসা। দুই রকম ভিসায় দুই ধরনের ফি জমা দিতে হয়। বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াগুলো পূর্ণ করতে হবে। সেগুলো বর্ণনা দেওয়া হল।
কানাডায় যেতে হলে আপনাকে কয়েকটি বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন ভিসার জন্য আবেদন ফরম। মেডিকেল টেস্ট করার জন্য খরচ। ইমিগ্রেশন ও এজেন্সি বা দালাল খরচ। সব মিলিয়ে বর্তমান সময়ের জন্য ন্যূনতম সাত থেকে আট লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়।
বিভিন্ন লেভেলের কানাডায় যাওয়ার ভিসা ফি৮থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এছাড়াও কানাডা যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে তার সঠিক বলা যাবে না। এখানে দালালের মাধ্যমে যত টাকা খরচ হবে সেটাই খরচ করতে হবে।
কানাডা ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আপনাকে কিছু সময় ব্যয় করতে হবে। ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন আপনাকে ২০ থেকে ২৫ কর্ম দিবস সময় দিতে হবে। এছাড়া কয়েকটি প্রক্রিয়ায় ভিসা প্রসেসিং করা হয়। ভিসা প্রসেসিং, ভিসা ফি, এবং বায়োমেট্রিক পদ্ধতি তে ফি। আপনি যদি আগের ভিসা করে থাকেন সেটাকে বায়োমেটিক পদ্ধতি বলে। তুলনামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কম টাকা লাগে।
বাংলাদেশ থেকে কানাডা সহ মোট ১৬ টি দেশ ঘুরতে পারবে , বা কাজের জন্য যেতে পারবেন। এখানে একটি বিষয় প্রযোজ্য। সেটা হচ্ছে একটি ভিসা দিয়ে আপনি টুরিস্ট বা জবে যেতে পারবেন। কানাডা ভিসা ফ্রি ফর্ম বাংলাদেশে কত টাকা খরচ হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ। যে সমস্ত খরচ গুলো হয়ে থাকে তার বর্ণনা করা হচ্ছে।

কানাডায় ভিসা বাংলাদেশ থেকে খরচ কত।

এখানে তিনটি পদ্ধতিতে ভিসা প্রসেসিং করা হয়। জব ভিসা, প্রসেসিং ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা।

কানাডা একটু উত্তর আমেরিকার উত্তর অংশে অবস্থিত রাষ্ট্র। এদেশের অর্থনীতি অনেকটাই সাবলীল। এদেশের মানুষটা উচ্চ জীবনযাত্রা জীবন যাপন করে। তাই এদেশের ভিসার দাম বেশি।

জব ভিসা। যব ভিসা জন্য কানাডায় যেতে চান। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে যেতে হলে আপনাকে প্রায় ১৯৫০০ টাকা মত লাগবে। দালালের পক্ষে গেলে আরো প্রায় দুই তিন হাজার টাকা বেশি লাগবে।

স্টুডেন্ট ভিসা। স্টুডেন্ট ভিসা জন্য আপনাকে আরো প্রসেসিং লম্বা করতে হবে। লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রকমের জব করতে পারবেন সেখানে। এবং একই ভিসা দিয়ে মোট ১৬ টি দেশে আপনি যেতে পারবেন। এই ভিসা তো আপনার ১৪৫০০ টাকার খরচ হবে। স্টুডেন্ট ভিসা যেতে হলে আপনাকে পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা খরচ হবে

প্রসেসিং ভিসা। কানাডা ভিসা ফি ফরম বাংলাদেশ। আপনার ভিসা যদি ১০ বছরের অগ্রিম হয়ে থাকে। তাদেরকে জন্য নতুন করে বায়োমেট্রিক দিতে হবে না। এক্ষেত্রে আপনার এখানে ১৪৯০০ টাকা দিতে জমা হবে । এই ভিসা আপনার বায়োমেট্রিক ভিসা হিসেবে পরিচিত।

কানাডা ভিসা ফি কত টাকা খরচ হবে।

কানাডা ভিসা ফি ফর্ম বাংলাদেশ। এখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে কত টাকা খরচ হবে সঠিক একটি ধারনা দেয়া সম্ভব নয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার প্রসেসিং এর মাধ্যমে আপনাকে যেতে হবে। দালালের মাধ্যমে বা এজেন্সির মাধ্যমে গেলে আপনাকে প্রায় ৮ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। আরেকটু সুবিধা হল আপনি একই ভিসা দিয়ে আমেরিকার মোট ১৬ টি দেশে ঘুরতে পারবেন। বা জব করতে পারবেন। আরো পড়ুনঃ আমেরিকা যেতে কত টাকা খরচ হবে।

বাংলাদেশের থেকে কানাডায় যেতে কত টাকা খরচ হবে।

কানাডা ভিসা ফি ফর্ম বাংলাদেশ। কানাডা যেতে বিভিন্ন রকমের খরচ হয়। স্টুডেন্ট ভিসা। বিজনেস ভিসা টুরিস্ট ভিসা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সহ বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন কোম্পানির ভিসা আলাদা আলাদা খরচ আছে। স্টুডেন্ট ভিসা আপনার খরচ হবে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা।

অন্য যে কোন বিষয় যেতে হলে আপনাকে আট থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হবে। টুরিস্ট ভিসার জন্য তিন থেকে চার লক্ষ টাকা খরচ হবে।

কানাডায় ভিসা সরকারি আবেদনের খরচ।

কানাডা যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকারিভাবে ভিসার খরচ অনেক কম। যেমন কানাডার ভিসা সরকারি আবেদন খরচ ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী হয়ে থাকে। সর্বোচ্চ ৮৫ সিএডি থেকে ১৫০ সিএডি। যা বাংলাদেশী টাকা তুলানোর অনুভবে অনেক কম প্রায় ৯৮০০ টাকা থেকে ১০৪০০ টাকা পর্যন্ত।যেটা বাংলাদেশের টাকা ৪ হাজার টাকায় হয়ে যায়। স্টুডেন্ট ভিসা টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে। স্টুডেন্ট সরকারি আবেদনের খরচ ফি ৬৫০০ টাকা। স্টুডেন্টের ভিসার খরচ ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। আর পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে ১০১০০ টাকা থেকে ১৬৬০০ টাকা।

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পারমিট ভিসা খরচ কত।

যেতে যে পারমিট ভিসার খরচ হয় তা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। বাংলাদেশের থেকে পারমিট ভিসা ২১ বছর বয়সে যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা যায়। এর আবেদন করতে দালাল ভেদে প্রায় ছয় লক্ষ টাকা থেকে ৮ লক্ষ টাকা লাগে। এবং সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হয়।

এছাড়া এজেন্সি বাদ দিয়ে বেসরকারিভাবে কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার সর্বনিম্ন দাম হল ছয় লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা।

কানাডা যেতে কত বছর বয়স দরকার হয়।

কানাডা যেতে কত বছর বয়স দরকার হয়। কারে যেতে সর্ব মোট ১২ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এখানে যে বয়সের লোক বা মানুষ লাগে। তার ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২১ বছর। তবে ভিসার ক্যাটাগরিতে ২১ বছর হতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অর্থাৎ কাদের উদ্দেশ্যে যারা যাবেন। তাদের বয়সে ২১ বছর হতে হবে তবে টুরিস্টের জন্য ১৮ বছরের নিচে হলেও নিয়ে যেতে পারবেন সাথে করে। তবে শর্ত হলো প্রত্যেক বাচ্চাদের জন্য অভিভাবকের অনুমতিপত্র লাগবে।

আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন।

কানাডা ভিসা ফি ফর্ম বাংলাদেশ। এই বিষের আবেদন পূরণ করতে যেসব কাগজপত্র লাগবে সেসব সম্পর্কে বর্ণনা করা হলো। আরো পড়ুনঃ আবেদন ফরম সংগ্রহ।

ডিজিটাল পার্সোনাল পাসপোর্ট লাগবে যেখানে অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে।
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা এন আই ডি কার্ড এর ফটোকপি অথবা জন্ম নিবন্ধন। জন্ম নিবন্ধনে অবশ্যই আপনাকে ১৮ বছর হতে হবে। ফ্যামিলি ভিসার জন্য।
চারিত্রিক শিক্ষা সনদের সকল সার্টিফিকেট এর ফটোকপি।
চারিত্রিক সনদপত্র।
আই এলটিএস পাশ করলে থাকতে হবে কমপক্ষে ছয় পয়েন্ট।
ফিটনেস পরীক্ষার সার্টিফিকেট।
বিবাহিতদের জন্য বিবাহের সনদপত্র।
ছবি তোলার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর সনদপত্র।
উপযুক্ত কাগজপত্রের সাথে অবশ্য সত্যায়িত কপি লাগবে।

আরো পড়ুনঃ আমেরিকায় যাওয়ার জন্য আবেদন পত্র নিয়ম।

পাসপোর্ট।

যেকোনো দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট প্রয়োজন। কানাডায় নাই যে কোন দেশ বাংলাদেশের যে কোন দেশে যেতে হলে আপনার পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে। পাসপোর্ট তৈরি করতে ২১ দিনে থেকে ৯০ দিন কর্মসূচি পালন অফিস থেকে। সমস্ত ভিসার ক্ষেত্রেই । পাসপোর্ট এর মেয়াদ ছয় মাস থাকতে হবে। নয়তো আপনাকে যাবার অনুমতি দেবে না।

ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

বাংলাদেশ থেকে কানাডায় যেতে হলে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট সরকার চেক করবে। এবং চেক করে বিগত ছয় মাসের স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। আরে এই স্টেটমেন্টের ৬ লক্ষ টাকা দেখাতে হবে জনপ্রতি।

ট্যাক্স প্রদান।

ভিসা আসার পরে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে ট্যাক্স দিতে হবে। কানাডা যাওয়ার অনুমোদন পাওয়ার জন্য আপনাকে যে ট্যাক্স দেয়া হবে সেটাই হচ্ছে অনুমতিপ্রাপ্ত হবেন। এর পরে আপনি টিকিট কেটে চলে যেতে পারবেন।

বাংলাদেশের মেডিকেল চেকআপের জন্য খরচ।

আপনার মেডিকেল চেক করার জন্য কিছু টাকা খরচ করতে হবে। মেডিকেল চেকআপে যদি সাকসেসফুল হন তাহলে আপনাকে কানাডা যেতে অনুমতি দিবে। তবে এখানে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। মেডিকেল খরচের জন্য তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হতে পারে সম্ভবত। এটা সব ভিসার জন্যই প্রযোজ্য।

কানাডা ভিসার যেসব ক্যাটাগরি রয়েছে।

কানাডা ভিসার চারটি ক্যাটাগরি করে রয়েছে। এরমধ্যে তিনটা উপরে বলা হয়েছে আর একটি হচ্ছে যে স্থায়ী বসবাস ভিসা।

টুইস্টের জন্য ৯০ দিন থাকার মধ্যে রয়েছে এজন্য আপনাকে একা একশ ডলার থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হবে

স্টাডি পারভিট ভিসা আপনাকে নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করে দেয়া হবে। এখানে আপনাকে দেড়শ ডলার থেকে আড়াইশো ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হবে ভিসার জন্য সিএ ডি। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা এখানে আপনাকে নির্দিষ্ট একটু সময় বেঁধে দেয়া হবে। সিআইডি খরচ হবে আপনার দেড়শ থেকে আড়াইশো ডলার পর্যন্ত।

স্থায়ী বসবাস ভিসা।

কানাডায় স্থায়ী ভিসা য় বসবাস করার জন্য অনুমতি দেয়া হয়। আর নাগরিকের আবেদন করার জন্য অনুমতিও পাওয়া যায় ।

অনুমতি পাওয়ার জন্য ১০০০ ডলার থেকে দুই হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ হবে ভিসার জন্য। কানাডা ভিসা

কানাডায় কৃষি ভিসা প্রদান।

প্রায় প্রায় দেশে কৃষিকাজ আছে। কৃষিকাজ ছাড়া মানুষ বাদেশ সম্পূর্ণ হতে পারে না। তাই কানাডার মত দেশ ও কৃষি কাজে আছে। এ কাজের জন্য আপনার শ্রমিক প্রয়োজন হয় আর এই শ্রমিকের ভিসা কানাডায় দিয়ে থাকে। যেটা হচ্ছে কৃষি ভিসা। এ বিশ আবেদনের জন্য আপনার ১০০ থেকে ২০০ ডলার খরচ হয়। আরো পড়ুন কৃষির জন্য ভালো মানের চিকিৎসা বা পরামর্শ।

শেষ কথাঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে এ দেশে যেতে হলে আপনাকে সর্বনিম্ন পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকার ব্যবস্থা করতে হবে। এর সাথে সঠিক কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। তারপরও শরীরে কোন সমস্যা হলে পরে। আপনি যেতে পারবেন না।

তাই বলা চলে যে। কানাডার মতো আমেরিকা উত্তর প্রদেশের যে দেশটি রয়েছে সেটি হচ্ছে কানাডা। বাংলাদেশ থেকে আপনাকে যেতে হলে সঠিকভাবে সম্পূর্ণ হয়ে যেতে হবে বা বাধ্যতামূলক করা হবে।